এবিএনএ: উগান্ডার সেনাবাহিনী পূর্ব প্রতিবেশী গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর ঘন জঙ্গলে অবস্থিত একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর ১১ সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে। সেনাবাহিনী মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, তারা সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে উগান্ডায় সীমান্ত অতিক্রমকারী একদল জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিক থেকে মিত্র গণতান্ত্রিক বাহিনী (এডিএফ) উগান্ডায় বিদ্রোহী ছিল, কিন্তু পূর্ব কঙ্গোর বন থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এডিএফ ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছিল।
উগান্ডার গণপ্রতিরক্ষা বাহিনীর (ইউপিডিএফ) মুখপাত্র ফেলিক্স কুলাইগে টুইটারে লিখেছেন, সোমবার রাতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন এডিএফ যোদ্ধারা দক্ষিণ-পশ্চিম এনটোরোকো জেলার সেমিলিকি নদী পার হয়ে উগান্ডায় প্রবেশ করে যখন তারা উগান্ডার সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা তাদের প্রবেশের খবর পাওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। দলটির সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াই চলছে। তাদের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আরও আটজনকে আটক করা হয়েছে এবং একজন উগান্ডার সেনা নিহত হয়েছেন।’
নটোরোকে জেলার চেয়ারম্যান কাসোলো উইলিয়াম স্থানীয় গণমাধ্যম এনবিএস টেলিভিশনকে জানান, এডিএফ যোদ্ধারা জেলার কায়ানজা টু ও কিয়োবে গ্রামে আক্রমণ করলে দেড় হাজারেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে যায়।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা ভিত্তিক সংবাদপত্র দৈনিক মনিটর জানিয়েছে, এডিএফ যোদ্ধারা এলাকার বেসামরিক লোকদের উপর গুলি চালায়, এতে অন্তত তিনজন আহত হয়। গত বছরের শেষ দিকে কাম্পালায় এবং এর আশেপাশে ধারাবাহিক বোমা হামলার পর উগান্ডা পূর্ব কঙ্গোতে শত শত সেনা মোতায়েন করেছিল। এডিএফকে এলাকা থেকে উচ্ছেদের জন্য কঙ্গোলিজ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
উগান্ডা অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের দাবি করেছে। কিন্তু তাদের দাবি সত্ত্বেও, এডিএফ বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উগান্ডা জানিয়েছে, তারা একটি আঞ্চলিক বাহিনীতে অতিরিক্ত এক হাজার সেনা মোতায়েন করবে যা গত মাসে হওয়া একটি চুক্তির অধীনে পূর্ব কঙ্গোতে কয়েক দশক ধরে অস্থিরতার অবসান ঘটাবে।